*বিপদাপদ বা অসুখ-বিসুখে নফল রোযা রাখার মানত করা বৈধ*
➖➖➖➖➖
_প্রশ্ন: নিজের বা পরিবারের কারো কোন বিপদ আপদ হলে বা কারো কোন অসুখ হলে কি রোযা মানত করা যায়? যেমন-এই অসুখ ভাল হলে বা এই বিপদ কেটে গেলে একটা, দুইটা বা তিনটা রোযা রাখব "এ রকম নিয়ত করে রাখা কি জায়েয আছে?_
➖➖➖➖➖
_প্রশ্ন: নিজের বা পরিবারের কারো কোন বিপদ আপদ হলে বা কারো কোন অসুখ হলে কি রোযা মানত করা যায়? যেমন-এই অসুখ ভাল হলে বা এই বিপদ কেটে গেলে একটা, দুইটা বা তিনটা রোযা রাখব "এ রকম নিয়ত করে রাখা কি জায়েয আছে?_
উত্তর:
আামদের জানা দরকার যে, ইসলামের দৃষ্টিতে মানত করা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনুৎসাহিত করে বলেছেন, “মানত মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটায় না।” (তিরমিযী) অর্থাৎ মানত করা হোক বা না হোক ভাগ্যে যা আছে তাই ঘটবে।
কিন্তু কেউ মানত করলে তা পুরণ করা আবশ্যক। গরু, ছাগল, হাস, মুরগী, টাকা-পয়সা ইত্যাদি দ্বারা যেভাবে মানত করা জায়েয রয়েছে তেমনি নফল নামায, রোযা, উমরা আদায় ইত্যাদি দ্বারাও মানত করাও জায়েয আছে।
সুতরাং আপনি এভাবে মানত করতে পারেন যে, এই অসুখ ভাল হলে বা এই বিপদ কেটে গেলে একটা দু বা তিনটা রোযা রাখব।
আামদের জানা দরকার যে, ইসলামের দৃষ্টিতে মানত করা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনুৎসাহিত করে বলেছেন, “মানত মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটায় না।” (তিরমিযী) অর্থাৎ মানত করা হোক বা না হোক ভাগ্যে যা আছে তাই ঘটবে।
কিন্তু কেউ মানত করলে তা পুরণ করা আবশ্যক। গরু, ছাগল, হাস, মুরগী, টাকা-পয়সা ইত্যাদি দ্বারা যেভাবে মানত করা জায়েয রয়েছে তেমনি নফল নামায, রোযা, উমরা আদায় ইত্যাদি দ্বারাও মানত করাও জায়েয আছে।
সুতরাং আপনি এভাবে মানত করতে পারেন যে, এই অসুখ ভাল হলে বা এই বিপদ কেটে গেলে একটা দু বা তিনটা রোযা রাখব।
🔸 *উল্লেখ্য যে,* মানতের পরিবর্তে সাধারণভাবে নফল দান-সদকা করা অধিক ফলপ্রসূ ও উপকারী।
*মানত এবং সদকার মাঝে পার্থক্য হল,* মানতে আল্লাহর নিকট শর্তারোপ করা হয়। যেমন, বলা হয় যে, যদি এই অসুখটি ভালো হয় বা এ বিপদ থেকে মুক্তি পাই তাহলে একটা ছাগল/গরু আল্লাহর উদ্দেশ্যে সদকা করব বা ১টি/৩টি রোযা থাকব ইত্যাদি।
পক্ষান্তরে নফল দান-সদকায় কোন শর্তারোপ থাকে না। বরং বিপদ-মুসিবত ও রোগ-ব্যাধীতে সাধারণভাবে দান-সদকা করে বা নফল ইবাদত করে আল্লাহর নিকট উক্ত সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য দুআ করা হয়।
আল্লাহু আলাম
*মানত এবং সদকার মাঝে পার্থক্য হল,* মানতে আল্লাহর নিকট শর্তারোপ করা হয়। যেমন, বলা হয় যে, যদি এই অসুখটি ভালো হয় বা এ বিপদ থেকে মুক্তি পাই তাহলে একটা ছাগল/গরু আল্লাহর উদ্দেশ্যে সদকা করব বা ১টি/৩টি রোযা থাকব ইত্যাদি।
পক্ষান্তরে নফল দান-সদকায় কোন শর্তারোপ থাকে না। বরং বিপদ-মুসিবত ও রোগ-ব্যাধীতে সাধারণভাবে দান-সদকা করে বা নফল ইবাদত করে আল্লাহর নিকট উক্ত সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য দুআ করা হয়।
আল্লাহু আলাম
✒✒✒✒
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব
দাঈ, জুবাইল দওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব
দাঈ, জুবাইল দওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
No comments:
Post a Comment