Sunday, November 25, 2018

ঋতুস্রাব চলাকালীন সময় কুরআন তিলাওয়াত করা বা কুরআন স্পর্শ করার হুকুম।



No automatic alt text available.


ঋতুস্রাব চলাকালীন সময় কুরআন তিলাওয়াত করা বা কুরআন স্পর্শ করার হুকুম।
ঃ>
প্রশ্ন ১: মেয়েদের মাসিকের সময় কুরআন মেমরি, এ্যাপ বা লেপটপ থেকে তেলাওয়াত কি জায়েজ?
 প্রশ্ন ২: মুখস্থ সূরা ভুলে যাওয়ার আশংকা থাকলে হ্যান্ড গ্লাভস পরে মেয়েরা কি কুরআন ধরে পড়তে পারবে পিরিওডের সময়?

 উত্তর: অধিকাংশ আলিমের মতে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঋতু অবস্থায় কুরআন পাঠ করা জায়েয নেই। তবে বিশেষ প্রয়োজন হলে জায়েয রয়েছে। যেমন, কুরআন ভুলে যাওয়ার আশংকা, কুরআনের পরীক্ষা, কুরআন শিক্ষা দান যদি বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকে ইত্যাদি।
যদিও শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া ও শায়ক আব্দুল্লাহ বিন বায সহ একদল আলিমের মতে ঋতু অবস্থায় সাধারণভাবে কুরআন তিলাওয়াত করা জায়েয রয়েছে। কিন্তু মতবিরোধ থেকে দূরে থাকার জন্য একান্ত প্রয়োজন ছাড়া না পড়াই উত্তম।
 তবে মোবাইল, ল্যাপটপ, ইন্টারনেটে কুরআন থাকলে তার উপর কুরআনের বিধান বর্তাবেনা। তাই ঋতু অবস্থায়ও সেগুলো স্পর্শ করা যাবে এবং একান্ত প্রয়োজন বোধে সেখান থেকেও পাঠ করা যাবে।

 অনুরূপভাবে গিলাফ সহকারে কিংবা হাত মোজা পরিধান করে শরীর নাপাক থাকা অবস্থায়ও কুরআন স্পর্শ করা যাবে।
 অনুরূপভাবে ঋতু চলা কালীন সময় সকাল-সন্ধ্যার যিকির হিসেবে বিশেষ কিছু সূরা যেমন, সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস ইত্যাদি সূরাগুলো পাঠ করা যাবে।
🔷 বিশেষ দ্রষ্টব্য: ঋতু অবস্থায় কুরআনের তাফসীর, হাদীস, ইসলামী বই-পুস্তক পাঠ করতেও অসুবিধা নেই।
আল্লাহু আলাম

-----
প্রশ্ন: রমজান মাসে পুরোটা কুর'আন তিলাওয়াত করে খতম করার উদ্দেশ্যে হায়েজ অবস্থায়ও কি তিলাওয়াত করা যাবে?
বি: দ্র: আমি দ্রুত তিলাওয়াত করতে পারি না।তাই আশংকা আছে হায়েজের দিনগুলি না তিলাওয়াত করলে খতম নাও হতে পারে।এখন করণীয় কি?

উত্তর:
মহিলাদের ঋতুস্রাব চলাকালীন সময় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে কি এ বিষয়ে ওলামাদের মাঝে দ্বিমত পরিলক্ষীত হয়। 
তবে এ ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত কথা হল:
ইবতে তাইমিয়া রহ., ইমাম ইবনে শাওকানী রহ. প্রমূখ বিদ্বানগণ বলেন, হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত নাজায়েয হওয়ার পক্ষে সহীহ কোন দলীল নাই। যদিও অধিকাংশ ইমামগণ এ অবস্থায় কুরআন তিলওয়াত করা নাজায়েয হওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন। তারা এ মতের পক্ষে কিছু দলীল দিলেও সেগুলো সনদের বিচারে শক্তিশালী নয়।
কিন্তু মতবিরোধ থেকে বাঁচার জন্য একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া না পড়াই উত্তম। আর জরুরি প্রয়োজনে (যেমন ভুলে যাওয়ার আশংকা থাকলে, কুরআনের পরীক্ষা ইত্যাদি) হায়েয অবস্থায় কুরআন পড়া জায়েয হলেও আবরণ ছাড়া সরাসরি কুরআন স্পর্শ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে ওলামাদের মাঝে কোন দ্বিমত নেই।
সুতরাং রামাযানে যথাসম্ভব ঋতুস্রাব আসার আগেই কুরআন খতম করার চেষ্টা করবেন। যদি সম্ভব না হয় তাহলে আফসোসের কিছু নেই। 
রামাযানে কুরআন খতম করা আবশ্যক নয় বরং উত্তম।
আল্লাহু আলাম

উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

No comments:

Post a Comment